অভি সমাদ্দার
পিছলভুক
পিছলভুক-১৭
ভুল থেকেই ফুটেছে এতো হাসি চোখ
এতো এতো ঝাঁকুনি থেকে
একাশাহী বিজন কথা—ছলকে যাবে কে
ভেবেছিল
মরুতাপে জল ও জড়ুল ঢেলে
এই নিতি শব্দদাগ বয়ে বেড়ানোর কথা
কে ভেবেছিল
আজ শুধু মনে হওয়া থেকেই যেন মনে পড়ে
দীর্ঘ নেশাকাল
দীর্ঘ গুরু ভক্তির করিডোরে
পাখি ঠোঁটে স্বপ্ন কাৎ হয়ে পড়ে আছে
ও দুঃখজাগানিয়া
দেখো, নিজছায়া মাপতে মাপতে
ছায়াটুপ মায়াটুপ
আমিই ফুটে উঠছি কেমন
ফুটে উঠছি
সমস্ত শ্বাসের জড়োয়া'য়
অশৈলি একলা গুঞ্জনে
#
পিছলভুক-১৮
এতো স্থিরাস্থির দিলে যে
প্রাণ, ঝিলমিল করে উঠছে
জলের শরীরে নেমে হারিয়ে যাচ্ছে
অমার দেবতা !
যেন একফালি চন্দ্র মশগুল
উপুড় করেছে আজ জীবনপুঁটলি
আর গ্লাসে গ্লাসে ফিনকি ভরা
তিমির আখড়ায়
ত্রাণ, ঝিলমিল করে উঠছে
পিছলভুক -১৯
পথ চলার এক ছায়াছন্ন পথ আছে
স্পন্দ থেকে একান্ত পাগলিনীর
এক রক্ত কুটির ও রিক্ত টান আছে
এবং এইসব ছিন্ন তর্জমায় যে জন
মেহেজ নিক্তির দেহছায়া
তার দু'দিকেই
কিছু ঋন্ময় ঘুম না ঘুম
কিছু তন্ময় শব্দের সুূদ
হে প্রাকৃত
অস্তি আড়াল
দেখো, কেমন অস্ততরী ভাসমান
ভেসে যাচ্ছি রোজ
দেখো
তরলে নীট
এই তিমির জং কারু—
মিশে যাওয়া
মরচে কিছু অক্ষর মহিমা !

পাঠকের মতামতঃ